Published : 11 Sep 2025, 04:05 PM
নতুন পাঁচ বছর মেয়াদী সরবরাহ চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে প্রথম জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে। টেক্সাসের কর্পাস ক্রিস্টি বন্দর থেকে ছেড়ে আসা জাহাজটি অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ৫৫ হাজার মেট্রিক টন বা ২২ লাখ বুশেল 'হার্ড রেড উইন্টার' জাতের গম নিয়ে গত ৩০-৩১ আগস্টের উইকেন্ডে জাহাজটি এডিএম কর্পাস ক্রিস্টি থেকে যাত্রা শুরু করে। চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাতে এই যাত্রায় প্রায় ৪০ দিন সময় লাগতে পারে। খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংগ্রহ) মো. মনিরুজ্জামান টিবিএসকে জাহাজ ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'প্রথম চালানটি অক্টোবরের মাঝামাঝি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
' তিনি আরও বলেন, 'প্রথম চুক্তিতে আমরা প্রতি টন ৩০২.৭৫ ডলার দামে ২.২ লাখ টন গম কিনেছি। এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন মূল্যে আবার চুক্তি করা হবে।' মনিরুজ্জামান জানান, খুব শীঘ্রই 'হার্ড রেড উইন্টার' জাতের গম নিয়ে আরও দুটি এবং 'সফট হোয়াইট' জাতের গম নিয়ে একটি জাহাজ বোঝাই করার কথা রয়েছে। এই চালানটি একটি সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) অধীনে প্রথম চালান। গত ২০ জুলাই ঢাকায় বাংলাদেশের খাদ্য অধিদপ্তর ও যুক্তরাষ্ট্রের গম শিল্পের বৈদেশিক বিপণন সংস্থা ইউএস হুইট অ্যাসোসিয়েটসের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাসানাত হুমায়ুন কবির এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন ইউএসডব্লিউর দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো সাওয়ার্স। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন এবং খাদ্য মন্ত্রণালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ আগামী পাঁচ বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বার্ষিক ৭ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করবে। কর্মকর্তারা জানান, এই চুক্তির উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে উচ্চমানের গমের স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করা; একই সঙ্গে মার্কিন কৃষকদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য রপ্তানির বাজার তৈরি করা।।
চাকসু নির্বাচন: আচরণবিধি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা থেকে ছাত্রদলের ওয়াক আউট